বর্ষা বন্দনা
- ইফতেখার হোসেন - আবেগসন্তের বাক্যনেশা ১২-০৫-২০২৪

রোদ বৃষ্টির লুকুচুরি,
জৈষ্ঠ্যের প্রকৃতি খেলা চিরন্তরী;
উষাকালে সূরুয মামা দেখা দিলেম সরোবরে
ব্রত, ত্বক ঝলসানোর রৌদ্রতেজ দুপুরে,
সবের আশায় বর্ষণ, প্রার্থনায়,
আর অস্থিরতায় আহামরি।

আচমকা সন্ধ্যারাতে,
আকাশ যেন তৈয়ার পরম দুধে-ভাতে
খন্ড খন্ড মেঘের ফাঁকে বিজলি-যেন আড়মোরাতে,
মন আকাশে প্রশ্ন পাঠায়, আকাশ কাছে এনে
মেঘমালার বিজলি, তোরা জ্বলে ওঠ’স কেন থেমে থেমে?

অন্ধকার এ রজনী করে আলোকিত
মনের বাসনা না করে ব্যথিত
বিজলি তোরা, যদি জ্বলতিস মেলাক্ষণে,
অদেখা ঐ বিজলি- আলোকিত রজনীর সেথায়
কেমনে ছড়ায় তোদের আলো
দেখতে বড় মন চায় কল্প ভুবনে।

অবশেষে বিকট শব্দ পৌণপুনিক বেজে
বর্ষা নামল মেঘের অশ্রু বেসে,
হৃদয় আবেগ সংবরণে অপারগ
মেঘঅশ্রু যেন ছুঁতে হবে পরম আবেশে।

মন ছুটল বাসনায়, যত কর্ম ভোগ রেখে
দূষিত প্রকৃতির এই ভৃত্য যুগে বৃষ্টির খেলা দেখে;
দুর্লভ এ বৃষ্টির ভালোবাসা
সাময়িক, হৃদয়ের মেটায় যদি আশা,
মনানন্দে তাই দেহ হল শায়িত,
আজ বৃষ্টিবারের বৃষ্টি যে পুরো খাসা।

তোরা আছিস কে কোথা,
দেখেযা, খেলা দেখে যা এথা,
প্রকৃতি এই বর্ষার পাবিনাকো ফিরে
যেমনি পূর্বে দেখতো সবে বর্ষার নিরে,
কলুষিত এ খরার যুগে
বৃষ্টিবারের বৃষ্টি যে অমাবস্যার চাঁদ;

তোরা কে কোথা আছিস,
আয় দেখেযা বৃষ্টির খেলা
রাঙিয়ে দেহ করবি গিলা
বর্ষা যে ঋতুর গলার মালা,
বর্ষা আজ আবার এল আনন্দ নিয়ে
ভুলে বেদনা, তৃপ্তির সুখ মিলাবি গায়ে,
প্রতিদিনের হতাশা না হয় আজ ফেলে দিবি
আড়ালে মুড়ে দূষণেরর আর্তনাদ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।